আজ দিন পেরিয়ে রাতের আঁধার নামলেই আবির্ভাব ঘটবে এক মহাপুণ্যে ঘেরা ‘রজনী’। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মে’রাজের। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নবুওয়াতের একাদশ বর্ষের ২৬ রজবের দিবাগত
গভীর রাতে মহান আল্লাহ্র খাস রহমতে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস্সালামের সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্য সাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ্তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। মেরাজকালে মহানবী (সঃ) সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। এ রাত অতি পবিত্র ও মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অফুরান রহমত বরকত মাগফিরাতে সমৃদ্ধ। আরবী শব্দ মি’রাজ অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। এ মেরাজের বড়দাগে অর্থ দাঁড়ায়-সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তারচে’ কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ। এ ছিল আল্লাহ্ তাআলার মহান কুদরত, অলৌকিক নিদর্শন, নবুয়তের সত্যতার সপে এক বিরাট আলামত, জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ, মোমিনদের জন্য প্রমাণ, হেদায়েত, নেয়ামত, রহমত, মহান আল্লাহ্র একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন, অদৃশ্য ভাগ্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, স্বচে জান্নাত-জাহান্নাম অবলোকন, পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের সাথে সাাত্ ও পরিচিত হওয়া, সুবিশাল নভোমন্ডল পরিভ্রমণ করা এবং সর্বোপরি এটিকে একটি অনন্য মু’জিযা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। এই রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি ৫ ওয়াক্তের নামাজ ফরজ হয়।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ কোরআনখানি, জিকির আসকার, দোয়া মাহফিল, বেশুমার দরূদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন। আজ মানুষ অঙ্গীকার করবেন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নিয়মিত পড়ার। কারণ নামাজ বাধ্যতামূলক করেছেন মহান আল্লাহ্পাক। আজ অতীব ফজিলতের রাত্রিতে জেগে থেকে ফজর ওয়াক্ত অবধি নফল নামাজ, জিকির-আযকার, কুরআন তিলাওয়াত ও দরূদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা এবং নফল নিয়তে দিবাভাগে রোজা রাখা অতি উত্তম। এগুলো ব্যতীত এই রাত্রে অন্য কোনপ্রকার শরীয়ত বিরোধী রুসম-রেওয়াজে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ কোরআনখানি, জিকির আসকার, দোয়া মাহফিল, বেশুমার দরূদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন। আজ মানুষ অঙ্গীকার করবেন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নিয়মিত পড়ার। কারণ নামাজ বাধ্যতামূলক করেছেন মহান আল্লাহ্পাক। আজ অতীব ফজিলতের রাত্রিতে জেগে থেকে ফজর ওয়াক্ত অবধি নফল নামাজ, জিকির-আযকার, কুরআন তিলাওয়াত ও দরূদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা এবং নফল নিয়তে দিবাভাগে রোজা রাখা অতি উত্তম। এগুলো ব্যতীত এই রাত্রে অন্য কোনপ্রকার শরীয়ত বিরোধী রুসম-রেওয়াজে লিপ্ত হওয়া যাবে না।