Thursday, May 17, 2012

ধর্মে ধর্মে সেই মহামানবঃ


ধর্মে ধর্মে সেই মহামানবঃ

[Hinduism ভগবত ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Judaism ইহুদী ধর্মে সেই মহামানব ]  
[Christianity খ্রীষ্ট ধর্মে সেই মহামানব 
[Zorastranism জোরাস্টাইন ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Budhism বৌদ্ধ ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Shikism শিখ ধর্মে সেই মহামানব ]

ভগবত ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-


'কল্ক' শব্দের অর্থ পাপ আর 'কল্কি' শব্দের অর্থ হল পাপের বিনাশকারী। ভগবত ধর্মের কল্কিপুরাণে বর্ণিত কল্কি অবতার যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-সেই তথ্য আজ আর অজানা নয়। সংস্কৃত শব্দের আড়াঁলে চাপা পড়া সেই মহান সত্যের উদ্ঘাটন করেছেন ধর্ম পন্ডিতগণ। ধর্মগ্রন্থগুলো কল্কি অবতারের যে সব গুণাবলী বর্ণনা করেছে সে সব নিরপেক্ষভাবে, বিশ্লেষণী মনে অধ্যয়ন করে যে কেউ নির্দিদ্ধায় বলে উঠবেন ইনি হযরত মুহাম্মদ (স) ভিন্ন অন্য কেউ নন। কেননা কল্কি অবতারের যে সব গুণ বর্ণনা করা হয়েছে সে সব কেবলমাত্র মরুনিবাসী লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীন শ্মশ্রুধারী মুহাম্মদ (স) এরই ছিল। বলা হয়েছে পৃথিবী যখন পাপে পাপে দূষিত হবে, মানুষ ধর্ম ভুলে যাবে - সেই সময় জগতের পাপ নাশ করেতে কল্কি অবতার আসবেন। ইসলামপূর্ব আরব সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়, ধর্ম বিবর্জিত মানুষ নিজ নিজ গোঁড়ামীর কারণ হেতু অজ্ঞতা ও বর্বরতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। সেই যুগকে বলা হত আইয়ামে জাহেলীয়াতের যুগ অর্থাত্‍ অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। তখন তারা তাদের সত্‍ মাকে বিবাহ করতে শুরু করেছিল, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত করব, মদ পান, ব্যভিচার, মূর্তিপূজা, জুয়া খেলায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময়ে হযরত মুহাম্মদ (স) এসেছিলেন। তিনি অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আরব সমাজকে মুক্ত করলেন। মরুনিবাসীদের পাপ নাশ করে তিনি জগতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। জগতের পাপ নাশ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এমন দৃষ্টান্ত মুহাম্মদ (স) ব্যতিত আর কেউ স্থাপন করতে সফল হননি। আসুন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাক, বেদ-পুরাণ সেই কল্কি অবতার সম্পর্কে কি বলছেঃ

কল্কি পুরাণে মুহাম্মদ (দঃ)-


"শম্ভুলে বিষুত্‍ যশাসো গৃহে প্রাদূর্ভবাসত্বম।
সমুত্যাং মাতরি বিভো কন্যায়াং ত্বনি্নদেশতঃ \\"
সূত্রঃ (কল্কি পুরাণে-২, শ্লোক-৪])

অর্থঃ  "আমি শম্ভুল (আরব) নগরে বিষ্ণুযশা (আব্দুল্লাহ) নামক গৃহে সুমতি (আমিনা) নাম্মী ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হইব।"

শম্ভুলঃ  এখানে সংস্কৃত 'শম্ভুল' শব্দ দ্বারা আরব নগরীকে বোঝানো হয়েছে? ভারতের বৈদিক যুগের পন্ডিতরা পৃথিবীর স্থলভাগকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।

১.জম্বুঃ ভারত, তিব্বত ও চীন অঞ্চল
২.শাকঃ পারস্য ও ইরাক অঞ্চল
৩.কুশঃ আফ্রিকা অঞ্চল
৪.ক্রৌঞ্চঃ ইউনান বা গ্রীস
৫.প্লক্ষ
৬.পুষ্করঃ স্পেন ও ইতালী অঞ্চল
৭.শম্ভুলঃ আরব অঞ্চল।

বিষ্ণুযশাঃ  বিষ্ণুযশা সংস্কৃত শব্দ। মুলতঃ সংস্কৃত শব্দের আড়াঁলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে প্রকৃত সত্য তথ্য। শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- বিষ্ণু = ভগবান (আরবীতে আল্লাহ), যশা = সেবক বা দাস; অর্থাত্‍, আল্লাহর সেবক বা দাস। অপরদিকে, আরবী 'আব্দুল্লাহ' শব্দের অর্থও আল্লাহর সেবক বা দাস।

সুমতিঃ  সুমতি সংস্কৃত শব্দ। সুমতি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় শান্ত, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ততকালীন সময়ে সমগ্র আরবের মধ্যে মা আমিনা ছিলেন সবচাইতে শান্ত প্রকৃতির, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি।

[-] ব্রাহ্মাণ হল হিন্দু ধর্মের সর্ব্বোচ্চ বংস, গোত্র, জাত বা শ্রেণীর নাম। অন্যান্য জাত বা গোত্রের চেয়ে ব্রাহ্মণরা সম্মানে, অধিকারে, শাস্ত্রে সবদিক থেকে অগ্রগণ্য। পীয়ারে হাবীব যে বংসে (কুরাইশ) এসেছিলেন সেটিও ছিল ততকালীন আরবের মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত, অধিকারে, ক্ষমতায়, ধর্মে-কর্মে। প্রকৃত অর্থে এখানে ব্রাহ্মাণ বলতে কুরাইশ বংসকে বোঝানো হয়েছে।

< পূর্বের পাতা       পরের পাতা>

[Hinduism ভগবত ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Judaism ইহুদী ধর্মে সেই মহামানব ]  
[Christianity খ্রীষ্ট ধর্মে সেই মহামানব 
[Zorastranism জোরাস্টাইন ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Budhism বৌদ্ধ ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Shikism শিখ ধর্মে সেই মহামানব ]

No comments:

Post a Comment