Thursday, September 6, 2012

নিজেকে অন্যের কাছে পছন্দসই করে তোলার উপায় :


১নং নিয়ম: অপরের সম্পর্কে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হয়ে উঠুন।

২নং নিয়ম: হাসুন।

৩নং নিয়ম: মনে রাখবেন কোন মানুষের কাছে তার নিজের নামটি যে কোন ভাষাতেই সবচেয়ে মিষ্টি।

৪নং নিয়ম: ভালো শ্রোতা হোন। অপরকে তার নিজের বিষয়ে বলতে উৎসাহ দিন।

৫নং নিয়ম: অন্যের আগ্রহের ব্যাপার নিয়ে কথা বলুন।

৬নং নিয়ম: অপর ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ন ভাববার সুযোগ দিন- আন্তরিকভাবেই তাই করুন।


(প্রতিপত্তি ও বন্ধুলাভ-ডেল কার্নেগী)

Saturday, July 14, 2012

মজার মজার ছবি এডিটিং করার সাইট


মজার মজার ছবি এডিটিং করার সাইট !!


আজকে আমি  কয়েকটি  বেশ কিছু চমৎকার ওয়েবসাইট দিচ্ছি ।
এখানের সাইটগুলো থেকে আপনি খুব সহজে নিজের ছবিগুলো এডিট করতে পারবেন।
এবং দিতে পারবেন নানান ধরনের সব মজার এফেক্ট !
সাইট গুলোর নাম >>>>


Tuesday, July 3, 2012

শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা



শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

 
শবে বরাত আভিধানিক অর্থ অনুসন্ধান
 
‘শব’ ফারসি শব্দ। অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটিও মূলে ফারসি। অর্থ ভাগ্য। দু’শব্দের একত্রে অর্থ হবে, ভাগ্য-রজনী।
বরাত শব্দটি আরবি ভেবে অনেকেই ভুল করে থাকেন। কারণ ‘বরাত’ বলতে আরবি ভাষায় কোন শব্দ নেই।
যদি বরাত শব্দটি আরবি বারা’আত শব্দের অপভ্রংশ ধরা হয় তবে তার অর্থ  হবে— সম্পর্কচ্ছেদ বা বিমুক্তিকরণ। কিন্তু কয়েকটি কারণে এ অর্থটি এখানে অগ্রাহ্য, মেনে নেয়া যায় না-
১. আগের শব্দটি ফারসি হওয়ায় ‘বরাত’ শব্দটিও ফারসি হবে, এটাই স্বাভাবিক
২. শা’বানের মধ্যরজনীকে আরবি ভাষার দীর্ঘ পরম্পরায় কেউই বারা’আতের রাত্রি হিসাবে আখ্যা দেননি।
৩. রমযান মাসের লাইলাতুল ক্বাদরকে কেউ-কেউ লাইলাতুল বারা’আত হিসাবে নামকরণ করেছেন, শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে নয়।
 
আরবি ভাষায় এ রাতটিকে কি বলা হয়?
 
আরবি ভাষায় এ রাতটিকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা‘বান’ — শাবান মাসের মধ্য রজনী — হিসাবে অভিহিত করা হয়।
 
শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন ফযীলত বর্ণিত হয়েছে?
 
শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
১.আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।
হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত।
 
২. আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন।
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)।
 
৩. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।
 
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট।
উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা  বানোয়াট, আর তাইগ্রাহ্যতারহিত।
 
প্রাজ্ঞ আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, দুর্বল হাদীস দ্বারা কোন আহকাম- বিধান প্রমাণ করা যায় না। দুর্বল হাদীসের উপর আমল করার জন্য কয়েকটি শর্ত লাগিয়েছেন তারা। শর্তগুলো নিম্নরূপ -
১. হাদীসটির মূল বক্তব্য অন্য কোন সহীহ হাদীসের বিরোধীতা করবেনা, বরং কোন শুদ্ধ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
২. হাদীসটি একেবারেই দুর্বল অথবা বানোয়াট হলে চলবে না।
৩. হাদীসটির উপর আমল করার সময় এটা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত বলে বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ রাসূল থেকে প্রমাণিত বলে বিশ্বাস করলে রাসূলের উপর মিথ্যাচারিতার পাপ হবে, ফলে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে পড়বে।
৪. হাদীসটি ফাদায়িল তথা কোন আমলের ফযীলত বর্ণনা সংক্রান্ত হতে হবে। আহকাম (ওয়াজিব, মুস্তাহাব, হারাম, মাকরূহ) ইত্যাদি সাব্যস্তকারী না হতে হবে।
৫. বান্দা ও তার প্রভুর মাঝে একান্ত ব্যক্তিগত কোন আমলের ক্ষেত্রে হাদীসটির নির্ভরতা নেয়া যাবে। তবে এ হাদীসের উপর আমল করার জন্য একে অপরকে আহবান করতে পারবে না।
 
এই শর্তাবলীর আলোকে যদি উপরোক্ত হাদীসগুলো পরীক্ষা করে দেখি তাহলে দেখতে পাই যে, উপরোক্ত হাদীসসমূহের মধ্যে শেষোক্ত _ আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)বর্ণিত — হাদীসটি বানোয়াট। সুতরাং তার উপর আমল করা উম্মাতের আলেমদের ঐক্যমতে জায়েয হবে না।
প্রথম হাদীসটি দুর্বল, দ্বিতীয় হাদীসটিও অধিকাংশ আলেমের মতে দুর্বল, যদিও কোন-কোন আলেম এর বর্ণনাকারীগণকে শক্তিশালী বলে মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র বর্ণনাকারী শক্তিশালী হলেই হাদীস বিশুদ্ধ হওয়া সাব্যস্ত হয়না।
মোট কথাঃ প্রথম ও দ্বিতীয়, এ হাদীস দুটি দুর্বল। খুব দুর্বল বা বানোয়াট নয়। সে হিসেবে যৎকিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে এ রাত্রির ফযীলত রয়েছে।
 
এই সূত্রেই অনেক হাদীসবিদ শাবানের মধ্যরাতের ফযীলত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেনঃ
• ইমাম আহমাদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইবনে তাইমিয়া তার ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে (২/৬২৬) তা উল্লেখ করেছেন]
• ইমাম আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইমাম ইবনে রাজাব তার ‘লাতায়েফুল মা‘আরিফ’ গ্রন্থে (পৃঃ১৪৪) তার থেকে তা বর্ণনা করেছেন]
• শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৬,৬২৭, মাজমু‘ ফাতাওয়া ২৩/১২৩, ১৩১,১৩৩,১৩৪]।
• ইমাম ইবনে রাজাব আল হাম্বলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [তার লাতায়েফুল মা‘আরিফ পৃঃ১৪৪ দ্রষ্টব্য]।
• প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্‌সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯]
 
উপরোক্ত মুহাদ্দিসগনসহ আরো অনেকে এ রাত্রিকে ফযীলতের রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু আমরা যদি উপরে উল্লিখিত প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীসটি পাঠ করে দেখি তাহলে দেখতে পাব —আল্লাহ  তা‘আলা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানাতে  থাকেন — হাদীসদ্বয়ে এ বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে। মুলত সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট এসেছে যে, “আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে - শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী, হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]
সুতরাং আমরা এ হাদীসদ্বয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং এ রাত্রির বিশেষ কোন বিশেষত্ব আমাদের নজরে পড়ছে না। এজন্যই শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) সহ আরো অনেকে এ রাত্রির অতিরিক্ত ফযীলত অস্বীকার করেছেন।
এ রাত্রি উদযাপন ও এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
প্রথম প্রশ্নঃ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?
উত্তরঃ না, এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ
 
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ -  سورة الدخان:3ـ4
 
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়”।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।
আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ
 
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - سورةالقدر:1
 
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ
 
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ - سورة البقرة:185
 
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শা‘বানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন, যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে’। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।
অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ মত প্রকাশ করেছেন। (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।
সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলো।
আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে, এ আয়াতের তাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মতভেদ করলেও তিনি শা’বানের মধ্য তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল বারা’আত নামকরণ করেননি।
 
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ শা’বানের মধ্যরাত্রি উদযাপন করা যাবে কিনা?
 
উত্তরঃ শা’বানের মধ্যরাত্রি পালন করার কি হুকুম এ নিয়ে আলেমদের মধ্যে তিনটি মত রয়েছে:
এক. শা‘বানের মধ্য রাত্রিতে মাসজিদে জামাতের সাথে নামায ও অন্যান্য ইবাদত করা জায়েয । প্রসিদ্ধ তাবেয়ী খালেদ ইবনে মি‘দান, লুকমান ইবনে আমের সুন্দর পোশাক পরে, আতর খোশবু, শুরমা মেখে মাসজিদে গিয়ে মানুষদের নিয়ে এ রাত্রিতে নামায আদায় করতেন। এ মতটি ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়ীয়াহ থেকেও বর্ণিত হয়েছে। (লাতায়েফুল মা‘আরেফ পৃঃ১৪৪)।
তারা তাদের মতের পক্ষে কোন দলীল পেশ করেননি। আল্লামা ইবনে রাজাব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাদের মতের পক্ষে দলীল হিসাবে বলেনঃ তাদের কাছে এ ব্যাপারে ইসরাইলি তথা পূর্ববর্তী উম্মাতদের থেকে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছিল, সে অনুসারে তারা আমল করেছিলেন। তবে পূর্বে বর্ণিত বিভিন্ন দুর্বল হাদীস তাদের দলীল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকবে।
 
দুই. শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত বন্দেগী করা জায়েয। ইমাম আওযা‘য়ী, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, এবং আল্লামা ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) এ মত পোষণ করেন।
তাদের মতের পক্ষে তারা যে সমস্ত হাদীস দ্বারা এ রাত্রির ফযীলত বর্ণিত হয়েছে সে সমস্ত সাধারণ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত করাকে জায়েয মনে করেন।
 
তিন: এ ধরণের ইবাদত সম্পূর্ণরূপে বিদ’আত — চাই তা ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সামষ্টিকভাবে। ইমাম ‘আতা ইবনে আবি রাবাহ, ইবনে আবি মুলাইকা, মদীনার ফুকাহাগণ, ইমাম মালেকের ছাত্রগণ, ও অন্যান্য আরো অনেকেই এ মত পোষণ করেছেন। এমনকি ইমাম আওযায়ী যিনি শাম তথা সিরিয়াবাসীদের ইমাম বলে প্রসিদ্ধ তিনিও এ ধরনের ঘটা করে মাসজিদে ইবাদত পালন করাকে বিদ‘আত বলে ঘোষণা করেছেন।
তাদের মতের পক্ষে যুক্তি হলো :
 
১.এ রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন দলীল নেই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ রাত্রিতে কোন সুনির্দিষ্ট ইবাদত করেছেন বলে সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়নি। অনুরূপভাবে তার কোন সাহাবী থেকেও কিছু বর্ণিত হয়নি। তাবেয়ীনদের মধ্যে তিনজন ব্যতীত আর কারো থেকে বর্ণিত হয়নি।
 
আল্লামা ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেনঃ শা‘বানের রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অথবা তার সাহাবাদের থেকে কোন নামায পড়া প্রমাণিত হয়নি। যদিও শামদেশীয় সুনির্দিষ্ট কোন কোন তাবেয়ীন থেকে তা বর্ণিত হয়েছে। (লাতায়েফুল মা‘আরিফঃ১৪৫)।
শাইখ আব্দুল আযীয ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেনঃ ‘এ রাত্রির ফযীলত বর্ণনায় কিছু দুর্বল হাদীস এসেছে যার উপর ভিত্তি করা জায়েয নেই, আর এ রাত্রিতে নামায আদায়ে বর্ণিত যাবতীয় হাদীসই বানোয়াট, আলেমগণ এ ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন’।
 
২. হাফেজ ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) যিনি কোন কোন তাবেয়ীনদের থেকে এ রাত্রির ফযীলত রয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ ঐ সমস্ত তাবেয়ীনদের কাছে দলীল হলো যে তাদের কাছে এ ব্যাপারে ইসরাইলি কিছু বর্ণনা এসেছে।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, যারা এ রাত পালন করেছেন তাদের দলীল হলো, যে তাদের কাছে ইসরাইলি বর্ণনা এসেছে, আমাদের প্রশ্নঃ ইসরাইলি বর্ণনা এ উম্মাতের জন্য কিভাবে দলীল হতে পারে?
 
৩. যে সমস্ত তাবেয়ীনগণ থেকে এ রাত উদযাপনের সংবাদ এসেছে তাদের সমসাময়িক প্রখ্যাত ফুকাহা ও মুহাদ্দিসীনগণ তাদের এ সব কর্মকান্ডের নিন্দা করেছেন। যারা তাদের নিন্দা করেছেন তাদের মধ্যে প্রখ্যাত হলেনঃ ইমাম আতা ইবনে আবি রাবাহ, যিনি তার যুগের সর্বশ্রেষ্ট মুফতি ছিলেন, আর যার সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছিলেনঃ তোমরা আমার কাছে প্রশ্নের জন্য একত্রিত হও, অথচ তোমাদের কাছে ইবনে আবি রাবাহ রয়েছে।
 
সুতরাং যদি ঐ রাত্রি উদযাপনকারীদের পক্ষে কোন দলীল থাকত, তাহলে তারা ‘আতা ইবনে আবি রাবাহর বিপক্ষে তা অবশ্যই পেশ করে তাদের কর্মকাণ্ডের যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন, অথচ এরকম করেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি।
 
৪. পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, যে সমস্ত দুর্বল হাদীসে ঐ রাত্রির ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র সে রাত্রিতে আল্লাহর অবতীর্ণ হওয়া এবং ক্ষমা করা প্রমাণিত হয়েছে, এর বাইরে কিছুই বর্ণিত হয়নি। মুলতঃ এ অবতীর্ণ হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার আহবান প্রতি রাতেই আল্লাহ তা’আলা করে থাকেন। যা সুনির্দিষ্ট কোন রাত বা রাতসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
এর বাইরে দুর্বল হাদীসেও অতিরিক্ত কোন ইবাদত করার নির্দেশ নেই।
 
৫. আর যারা এ রাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে আমল করা জায়েয বলে মন্তব্য করেছেন তাদের মতের পক্ষে কোন দলীল নেই, কেননা এ রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বা তার সাহাবা কারো থেকেই ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিক কোন ভাবেই কোন প্রকার ইবাদত করেছেন বলে বর্ণিত হয়নি।
 
এর বিপরীতে শরীয়তের সাধারণ অনেক দলীল এ রাত্রিকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে, তম্মধ্যে রয়েছেঃ
আল্লাহ বলেনঃ “আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম”। (সূরা আল-মায়েদাহঃ ৩)।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন কিছুর উদ্ভব ঘটাবে যা এর মধ্যে নেই, তা তার উপর নিক্ষিপ্ত হবে)। (বুখারী, হাদীস নং ২৬৯৭)।
তিনি আরো বলেছেনঃ (যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করবে যার উপর আমাদের দ্বীনের মধ্যে কোন নির্দেশ নেই তা অগ্রহণযোগ্য)। (মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৮)।
 
শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেনঃ আর ইমাম আওযা‘য়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) যে, এ রাতে ব্যক্তিগত ইবাদত করা ভাল মনে করেছেন, আর যা হাফেয ইবনে রাজাব পছন্দ করেছেন, তাদের এ মত অত্যন্ত আশ্চার্যজনক বরং দুর্বল; কেননা কোন কিছু যতক্ষন পর্যন্ত না শরীয়তের দলীলের মাধ্যমে জায়েয বলে সাব্যস্ত হবে ততক্ষন পর্যন্ত কোন মুসলিমের পক্ষেই দ্বীনের মধ্যে তার অনুপ্রবেশ ঘটাতে বৈধ হবে না। চাই তা ব্যক্তিগতভাবে করুক বা সামষ্টিক- দলবদ্ধভাবে। চাই গোপনে করুক বা প্রকাশ্য। কারণ বিদ‘আতকর্ম অস্বীকার করে এবং তা থেকে সাবধান করে যে সমস্ত প্রমাণাদি এসেছে সেগুলো সাধারণভাবে তার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। (আত্‌তাহযীর মিনাল বিদ‘আঃ১৩)।
 
৬. শাইখ আব্দুল আযীয ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) আরো বলেনঃ সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমরা জুম‘আর রাত্রিকে অন্যান্য রাত থেকে ক্বিয়াম/ নামাযের জন্য সুনির্দিষ্ট করে নিও না, আর জুম‘আর দিনকেও অন্যান্য দিনের থেকে আলাদা করে রোযার জন্য সুনির্দিষ্ট করে নিও না, তবে যদি কারো রোযার দিনে সে দিন ঘটনাচক্রে এসে যায় সেটা ভিন্ন কথা”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪৪, ১৪৮)। যদি কোন রাতকে ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট করা জায়েয হতো তবে অবশ্যই জুম‘আর রাতকে ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট করা জায়েয হতো; কেননা জুম‘আর দিনের ফযীলত সম্পর্কে হাদীসে এসেছে যে, “সুর্য যে দিনগুলোতে উদিত হয় তম্মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ট দিন, জুম‘আর দিন”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৪)। সুতরাং যেহেতু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুম‘আর দিনকে বিশেষভাবে ক্বিয়াম/নামাযের জন্য সুনির্দিষ্ট করা থেকে নিষেধ করেছেন সেহেতু অন্যান্য রাতগুলোতে অবশ্যই ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট করে নেয়া জায়েয হবে না। তবে যদি কোন রাত্রের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দলীল এসে যায় তবে সেটা ভিন্ন কথা। আর যেহেতু লাইলাতুল ক্বাদর এবং রমযানের রাতের ক্বিয়াম/নামায পড়া জায়েয সেহেতু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ রাতগুলোর ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীস এসেছে।
 
তৃতীয় প্রশ্নঃ শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে হাজারী নামায পড়ার কী হুকুম?
 
উত্তরঃ শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে একশত রাকাত নামাযের প্রতি রাকাতে দশবার সূরা কুল হুওয়াল্লাহ (সূরা ইখলাস) দিয়ে নামাজ পড়ার যে নিয়ম প্রচলিত হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আত।
এ নামাযের প্রথম প্রচলন
এ নামাযের প্রথম প্রচলন হয় হিজরী ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামীয় একলোক বায়তুল মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত ছিল সুমধুর। তিনি শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নামাযে দাঁড়ালে তার পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ায়, তারপর তার সাথে তৃতীয় জন এসে যোগ দেয়, তারপর চতুর্থ জন। তিনি নামায শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী বছর এলে, তার সাথে অনেকেই যোগ দেয় ও নামায আদায় করে। এতে করে মাসজিদুল আক্‌সাতে এ নামাযের প্রথা চালু হয়। কালক্রমে এ নামায এমনভাবে আদায় হতে লাগে যে অনেকেই তা সুন্নাত মনে করতে শুরু করে। (ত্বারতুসীঃ হাওয়াদেস ও বিদ‘আ পৃঃ১২১, ১২২, ইবনে কাসীরঃ বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৪/২৪৭, ইবনুল কাইয়েমঃ আল-মানারুল মুনিফ পৃঃ৯৯)।
এ নামাযের পদ্ধতি
প্রথা অনুযায়ী এ নামাযের পদ্ধতি হলো, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পড়ে মোট একশত রাকাত নামায পড়া। যাতে করে সূরা ইখলাস ১০০০ বার পড়া হয়। (এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীন (১/২০৩)।
এ ধরণের নামায সম্পূর্ণ বিদ‘আত। কারণ এ ধরণের নামাযের বর্ণনা কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। কোন কোন বইয়ে এ সম্পর্কে যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয় সেগুলো কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। আর তাই আল্লামা ইবনুল জাওযী (মাওদু‘আত ১/১২৭-১৩০), হাফেয ইরাকী (তাখরীজুল এহইয়া), ইমাম নববী (আল-মাজমু‘ ৪/৫৬), আল্লামা আবু শামাহ (আল-বা‘েয়স পৃঃ৩২-৩৬), শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা, (ইকতিদায়ে ছিরাতুল মুস্তাকীম ২/৬২৮), আল্লামা ইবনে ‘আররাক (তানযীহুশ শরীয়াহ ২/৯২), ইবনে হাজার আল-আসকালানী, আল্লামা সূয়ূতী (আল-আমর বিল ইত্তেবা পৃঃ৮১, আল-লাআলিল মাসনূ‘আ ২/৫৭), আল্লামা শাওকানী (ফাওয়ায়েদুল মাজমু‘আ পৃঃ৫১) সহ আরো অনেকেই এ গুলোকে “বানোয়াট হাদীস” বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ধরণের নামাযের হুকুম
সঠিক জ্ঞানের অধিকারী আলেমগণের মতে এ ধরণের নামায বিদ‘আত; কেননা এ ধরনের নামায আল্লাহর রাসূলও পড়েননি। তার কোন খলীফাও পড়েননি। সাহাবাগণও পড়েননি। হেদায়াতের ইমাম তথা আবু হানিফা, মালেক, শাফেয়ী, আহমাদ, সাওরী, আওযায়ী, লাইস’সহ অন্যান্যগণ কেউই এ ধরণের নামায পড়েননি বা পড়তে বলেননি।
আর এ ধরণের নামাযের বর্ণনায় যে হাদীসসমূহ কেউ কেউ উল্লেখ করে থাকেন তা উম্মাতের আলেমদের ইজমা অনুযায়ী বানোয়াট। (এর জন্য দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়ার মাজমুল‘ ফাতাওয়া ২৩/১৩১,১৩৩,১৩৪, ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৮, আবু শামাহঃ আল-বা‘য়েছ পৃঃ ৩২-৩৬, রশীদ রিদাঃ ফাতাওয়া ১/২৮, আলী মাহফুজ, ইবদা‘ পৃঃ২৮৬,২৮৮, ইবনে বাযঃ আত্‌তাহযীর মিনাল বিদ‘আ পৃঃ১১-১৬)।

 
চতুর্থ প্রশ্নঃ শা‘বানের মধ্যরাত্রির পরদিন কি রোযা রাখা যাবে?
 
উত্তরঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শা‘বান মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন। (এর জন্য দেখুনঃ বুখারী, হাদীস নং ১৯৬৯, ১৯৭০, মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬, ১১৬১, মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৩১, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হাদীস নং ৬৫৭)।
সে হিসাবে যদি কেউ শা‘বান মাসে রোযা রাখেন তবে তা হবে সুন্নাত। শাবান মাসের শেষ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ। তবে রোজা রাখার সময় মনে করতে হবে যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহেতু শা‘বান মাসে রোজা রেখেছিলেন তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে।
অথবা যদি কারও আইয়ামে বিদের নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫ এ তিনদিন রোযা রাখার নিয়ম থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র শা‘বানের পনের তারিখ রোযা রাখা বিদ‘আত হবে। কারণ শরীয়তে এ রোযার কোন ভিত্তি নেই।
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের পরিপূর্ণ পদাঙ্ক অনুসরন করে চলার তৌফিক দিন। আমীন।
 

টীকা:7. যদি শা‘বানের মধ্যরাত্রিকে উদযাপন করা বা ঘটা করে পালন করা জায়েয হতো তাহলে অবশ্যই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে আমাদের জানাতেন। বা তিনি নিজেই তা করতেন। আর এমন কিছু তিনি করে থাকতেন তাহলে সাহাবাগণ অবশ্যই তা উম্মাতের কাছে বর্ণনা করতেন। তারা নবীদের পরে জগতের শ্রেষ্টতম মানুষ, সবচেয়ে বেশী নসীহতকারী, কোন কিছুই তারা গোপন করেননি’। (আত্‌তহযীর মিনাল বিদা‘১৫,১৬)।
 
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট হলো যে, কুরআন, হাদীস ও গ্রহণযোগ্য আলেমদের বাণী থেকে আমরা জানতে পারলাম শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে ঘটা করে উদযাপন করা— চাই তা নামাযের মাধ্যমে হোক অথবা অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যেমে— অধিকাংশ আলেমদের মতে জগন্যতম বিদ‘আত। শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই। বরং তা’ সাহাবাদের যুগের পরে প্রথম শুরু হয়েছিল। যারা সত্যের অনুসরণ করতে চায় তাদের জন্য দ্বীনের মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা করতে বলেছেন তাই যথেষ্ট।

Sunday, June 17, 2012


আজ পবিত্র শবে মেরাজ

আজ দিন পেরিয়ে রাতের আঁধার নামলেই আবির্ভাব ঘটবে এক মহাপুণ্যে ঘেরা ‘রজনী’। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মে’রাজের। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নবুওয়াতের একাদশ বর্ষের ২৬ রজবের দিবাগত
গভীর রাতে মহান আল্লাহ্র খাস রহমতে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস্সালামের সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্য সাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ্তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। মেরাজকালে মহানবী (সঃ) সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। এ রাত অতি পবিত্র ও মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অফুরান রহমত বরকত মাগফিরাতে সমৃদ্ধ। আরবী শব্দ মি’রাজ অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। এ মেরাজের বড়দাগে অর্থ দাঁড়ায়-সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তারচে’ কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ। এ ছিল আল্লাহ্ তাআলার মহান কুদরত, অলৌকিক নিদর্শন, নবুয়তের সত্যতার সপে এক বিরাট আলামত, জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ, মোমিনদের জন্য প্রমাণ, হেদায়েত, নেয়ামত, রহমত, মহান আল্লাহ্র একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন, অদৃশ্য ভাগ্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, স্বচে জান্নাত-জাহান্নাম অবলোকন, পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের সাথে সাাত্ ও পরিচিত হওয়া, সুবিশাল নভোমন্ডল পরিভ্রমণ করা এবং সর্বোপরি এটিকে একটি অনন্য মু’জিযা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। এই রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি ৫ ওয়াক্তের নামাজ ফরজ হয়।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ কোরআনখানি, জিকির আসকার, দোয়া মাহফিল, বেশুমার দরূদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন। আজ মানুষ অঙ্গীকার করবেন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নিয়মিত পড়ার। কারণ নামাজ বাধ্যতামূলক করেছেন মহান আল্লাহ্পাক। আজ অতীব ফজিলতের রাত্রিতে জেগে থেকে ফজর ওয়াক্ত অবধি নফল নামাজ, জিকির-আযকার, কুরআন তিলাওয়াত ও দরূদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা এবং নফল নিয়তে দিবাভাগে রোজা রাখা অতি উত্তম। এগুলো ব্যতীত এই রাত্রে অন্য কোনপ্রকার শরীয়ত বিরোধী রুসম-রেওয়াজে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

পবিত্র শবে মেরাজ।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

শেয়ারঃ
020


পবিত্র শবে মেরাজ। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত তথা উর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণ। এ রাত অতি পবিত্র। 

৬২০ খ্রিস্টাব্দের পবিত্র এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দিস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন।

সেখানে জামাতে ইমামতি করে উর্ধ্বলোকে গমন করেন। প্রতিটি আসমানে হযরত আদম(আঃ) ও বিশিষ্ট নবীগনের সাথে বিশ্ব নবীর (সঃ) সালাম ও কুশলাদি বিনিময় হয়।

তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হয়। এ পর্যন্ত হযরত জিবরাইল (আঃ) তার সফরসঙ্গী ছিলেন। 

তারপর সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। 

মেরাজ কালে মহানবী (সঃ) সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর রহস্য অবলোকন করেন।

মেরাজ ও সাইন্স..............বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন। 
Click This Link


  • ১১ টি মন্তব্য
  • ৬৮৪ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে
১.১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০৭
 ব্যতিক্রমী বলেছেন: ভালো লাগল। ভালো থাকা হয় যেন,,,,,,,,,,,,
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
লেখক বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন।
৩.১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১৮
 শাওন৭৯ বলেছেন: বেশি করে লিখুন।

আরও লেখা পাবার অপে ায়।
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
লেখক বলেছেন: ইনশাল্লাহ, লিখবো।
৫.১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৮
 আবু আব্দুল্লাহ মামুন বলেছেন: মেরাজের তাৎপর্য নিয়ে কিছু লেখলে ব্লগারদের উপকার হতো। আশা এই বিষয় নিয়ে লেখেবন।
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
লেখক বলেছেন: ইনশাল্লাহ লিখবো।
৭.১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:২০
 মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: জামাল ভাই ইসরা ও মে'রাজ নিয়ে সম্ভব হলে লিখুন। আমার লিখার প্লান ছিল, দেশে যাওয়ার প্রস্তুতির কারণে লিখা সম্ভব হচ্ছে না। আমার নাম্বার 050 6113627 ধন্যবাদ
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৫
লেখক বলেছেন: লোমান ভাই, সালাম নিন। কামাল ভাই বলেছে যে আপনি দেশে যাচ্ছেন। আর আমি একটু ব্যস্ত। ফ্রি থাকলে লিখবো ইনশাল্লাহ। আর আপনাকে ফোন করবো। ভাল থাকবেন।
৯.১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৭
 আহছানউল্লাহ বলেছেন: সালাম ভাই।সময় করে লিখুন আশা করি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারব।
পবিত্র শবে মেরাজ। ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫৫ শেয়ারঃ020 পবিত্র শবে মেরাজ। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত তথা উর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণ। এ রাত অতি পবিত্র। ৬২০ খ্রিস্টাব্দের পবিত্র এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দিস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখানে জামাতে ইমামতি করে উর্ধ্বলোকে গমন করেন। প্রতিটি আসমানে হযরত আদম(আঃ) ও বিশিষ্ট নবীগনের সাথে বিশ্ব নবীর (সঃ) সালাম ও কুশলাদি বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হয়। এ পর্যন্ত হযরত জিবরাইল (আঃ) তার সফরসঙ্গী ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। মেরাজ কালে মহানবী (সঃ) সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। মেরাজ ও সাইন্স..............বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন। Click This Link সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫৯ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর... ১১ টি মন্তব্য৬৮৩ বার পঠিত, পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে ১. ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০৭ ব্যতিক্রমী বলেছেন: ভালো লাগল। ভালো থাকা হয় যেন,,,,,,,,,,,, ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪ লেখক বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন। ৩. ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১৮ শাওন৭৯ বলেছেন: বেশি করে লিখুন। আরও লেখা পাবার অপে ায়। ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬ লেখক বলেছেন: ইনশাল্লাহ, লিখবো। ৫. ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৮ আবু আব্দুল্লাহ মামুন বলেছেন: মেরাজের তাৎপর্য নিয়ে কিছু লেখলে ব্লগারদের উপকার হতো। আশা এই বিষয় নিয়ে লেখেবন। ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫০ লেখক বলেছেন: ইনশাল্লাহ লিখবো। ৭. ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:২০ মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: জামাল ভাই ইসরা ও মে'রাজ নিয়ে সম্ভব হলে লিখুন। আমার লিখার প্লান ছিল, দেশে যাওয়ার প্রস্তুতির কারণে লিখা সম্ভব হচ্ছে না। আমার নাম্বার 050 6113627 ধন্যবাদ ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৫ লেখক বলেছেন: লোমান ভাই, সালাম নিন। কামাল ভাই বলেছে যে আপনি দেশে যাচ্ছেন। আর আমি একটু ব্যস্ত। ফ্রি থাকলে লিখবো ইনশাল্লাহ। আর আপনাকে ফোন করবো। ভাল থাকবেন। ৯. ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৭ আহছানউল্লাহ বলেছেন: সালাম ভাই।সময় করে লিখুন আশা করি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারব। ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬ লেখক বলেছেন: ইনশাল্লাহ। ১১. ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩ মিআমি বলেছেন: ভাল লাগলো।আপনার সাথে একটু কথা বলার ইচ্ছা।009660502230130 me_ame4055@yahoo.com আপনার মন্তব্য লিখতে লগইন করুন ।

Monday, May 21, 2012

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার ৯৯টি নাম

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার ৯৯টি নাম
99 Names of ALLAH(S.W.T)
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার ৯৯টি নাম

99 Names of ALLAH(S.W.T)

কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :

"আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে
বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল
শীঘ্রই পাবে।-আল-আরাফ [৭:১৮০]
"The most beautiful names belong to Allah: so call on him by them; but shun such men as use profanity in his names: for what they do, they will soon be requited. Al-Araaf [7:180]"

"আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই"। - সূরা
ত্বাহাঃ[২০:০৮]
Allah! there is no god but He! To Him belong the most Beautiful Names. Taa-Haa [20:8]

হাদিসে এসেছে আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে যারা এ নাম গুলোকে পরিপূর্ণ

বিশ্বাসের সাথে গ্রহন ও সংরক্ষণ করে তারা বেহেস্তে প্রবেশ করবে:

Narrated By Abu Huraira: Allah's Apostle said, "Allah has *NINETY-NINE* Names,
one-hundred less one; and he who memorized them all by heart will enter
Paradise." To count something means to know it by heart.

-Shahi Bukhari, Vol 9, Book 93. Oneness, Uniqueness Of Allah Hadith 489.


আসুন , অন্তত একবার নামগুলো পড়ি এবং আল্লাহপাকের মহত্ব জানি।

1 Allah (الله)

The Greatest Name( এটাকে আল্লাহর জাতি নাম বলা হয়।অনেকেই এ

নামের কোন অর্থ করেননি।কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন যুক্ত অক্ষর-ال+الإله বলে
সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী)

2 Ar-Rahman (الرحمن)

The All-Compassionate (পরম দাতা ও দয়ালু)

3 Ar-Rahim (الرحيم)

The All-Merciful(পরম দাতা ও দয়ালু)

4 Al-Malik (الملك)

The Absolute Ruler(রাজাধিরাজ)

5 Al-Quddus (القدوس)

The Pure One(সব ত্রুটি থেকে পবিত্র)

6 As-Salam (السلام)

The Source of Peace(একমাত্র শান্তি দান কারী)

7 Al-Mu'min (المؤمن)

The Inspirer of Faith(একমাত্র নিরাপত্তা দান কারী)

8 Al-Muhaymin (المهيمن)

The Guardian(একমাত্র রক্ষণাবেক্ষণকারী)

9 Al-Aziz (العزيز)

The Victorious(মহা সন্মানিত)

10 Al-Jabbar (الجبار)

The Compeller(এমন বাদশাহ যিনি যা খুশি তাই করতে পারেন)

11 Al-Mutakabbir (المتكبر)

The Greatest(অহংকার এবং গৌরবের একমাত্র মালিক)

12 Al-Khaliq (الخالق)

The Creator(দৃশ্যমান যাবতীয় জিনিষের সৃষ্টিকর্তা)

13 Al-Bari' (البارئ)

The Maker of Order(রুহ এবং অদৃশ্য যাবতীয় জিনিষের সৃষ্টিকর্তা)

14 Al-Musawwir (المصور)

The Shaper of Beauty(আকার আকৃতি দান কারী)

15 Al-Ghaffar (الغفار)

The Forgiving(অনেক বড় ক্ষমাশীল)

16 Al-Qahhar (القهار)

The Subduer(প্রভাব বিস্তারকারী মহাশক্তিধর)

17 Al-Wahhab (الوهاب)

The Giver of All(অনেক বড় দাতা)

18 Ar-Razzaq (الرزاق)

The Sustainer(রিজিক বা রুজি দানকারী)

19 Al-Fattah (الفتاح)

The Opener(যিনি বন্ধ দরোজা খুলেদেন।বিদ্যা,বুদ্ধি,রুজি ইত্যাদীর)

20 Al-`Alim (العليم)

The Knower of All(সর্বজ্ঞ,যিনি সবকিছু

জানেন)

21 Al-Qabid (القابض)

The Constrictor(যিনি সংকীর্ণ বা ছোট করেন)

22 Al-Basit (الباسط)

The Reliever(যিনি প্রশস্ত বা বড় করেন)

23 Al-Khafid (الخافض)

The Abaser(তিনি অবস্থার অবনতি করেন)

24 Ar-Rafi (الرافع)

The Exalter(তিনিই উন্নতি দান করেন)

25 Al-Mu'izz (المعز)

The Bestower of Honors(তিনি সন্মান দানকারী)

26 Al-Mudhill (المذل)

The Humiliator(তিনি অপদস্থ কারী)

27 As-Sami (السميع)

The Hearer of All(যিনি সবকিছু শুনেন)

28 Al-Basir (البصير)

The Seer of All(সব কিছু যিনি দেখেন)

29 Al-Hakam (الحكم)

The Judge One(একমাত্র আদেশ দানকারী ও আইন প্রণেতা)

30 Al-`Adl (العدل)

The Just(ন্যায়পরায়ণ ও ন্যয়বিচারক)

31 Al-Latif (اللطيف)

The Subtle One(একমাত্র সূক্ষ্মদর্শী)

32 Al-Khabir (الخبير)

The All-Aware(যিনি গোপন খবর জানেন)

33 Al-Halim (الحليم)

The Forbearing(অতিশয় ধৈর্যশীল)

34 Al-Azim (العظيم)

The Magnificent(অতি মহান)

35 Al-Ghafur (الغفور)

The Forgiver and Hider of Faults(অতিশয় ক্ষমাশীল)

36 Ash-Shakur (الشكور)

The Rewarder of Thankfulness(সঠিক কর্ম সম্পাদনকারী,কৃতজ্ঞতার প্রতিদানকারি)

37 Al-Ali (العلى)

The Highest(অতি বড় মহান)

38 Al-Kabir (الكبير)

The Greatest(সবচেয়ে বড়)

39 Al-Hafiz (الحفيظ)

The Preserver(সবকিছু সংরক্ষণকারী)

40 Al-Muqit (المقيت)

The Nourisher(সবার রুজি উপার্যন দানকারী)

41 Al-Hasib (الحسيب)

The Accounter(সবার হিসাব গ্রহনকারী)

42 Al-Jalil (الجليل)

The Mighty(অতি বড় মর্যাদাশালী)

43 Al-Karim (الكريم)

The Generous(বড় দাতা)

44 Ar-Raqib (الرقيب)

The Watchful One(গোপন ও প্রকাশ্য সবজান্তা)

45 Al-Mujib (المجيب)

The Responder to Prayer(করূণ প্রার্থনা শ্রবণকারী)

46 Al-Wasi (الواسع)

The All-Comprehending(যিনি বিশাল,অফুরন্ত)

47 Al-Hakim (الحكيم)

The Perfectly Wise(সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী)

48 Al-Wadud (الودود)

The Loving One(প্রেমময়)

49 Al-Majid (المجيد)

The Majestic One(সবচেয়ে সন্মানিত)

50 Al-Ba'ith (الباعث)

The Resurrector(কিয়মত দিবসে পুনরুত্থানকারী)

51 Ash-Shahid (الشهيد)

The Witness(প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্যদাতা)

52 Al-Haqq (الحق)

The Truth(তিনি মহা সত্য)

53 Al-Wakil (الوكيل)

The Trustee(একমাত্র কার্যনির্বাহক)

54 Al-Qawiyy (القوى)

The Possessor of All Strength(প্রবল পরাক্রমশালী)

55 Al-Matin (المتين)

The Forceful One(মহা শক্তিধর)

56 Al-Waliyy (الولى)

The Protecting Friend(বিপদে একমাত্র বন্দু)

57 Al-Hamid (الحميد)

The Praised One(একমাত্র প্রশংসার যোগ্য)

58 Al-Muhsi (المحصى)

The Appraiser(হিসাব সংরক্ষণকারী)

59 Al-Mubdi' (المبدئ)

The Originator (সব বস্তুর প্রথম শ্রষ্টা)

60 Al-Mu'id (المعيد)

The Restorer(পুনরুত্থানকারী শ্রষ্টা)

61 Al-Muhyi (المحيى)

The Giver of Life(জীবনের শ্রষ্টা)

62 Al-Mumit (المميت)

The Taker of Life(মৃত্যু দাতা)

63 Al-Hayy (الحي)

The Ever Living One(চিরঞ্জীব)

64 Al-Qayyum (القيوم)

The Self-Existing One(চিরস্থায়ী)

65 Al-Wajid (الواجد)

The Finder(প্রকৃত ধনী,উদ্ভাবনকারী)

66 Al-Majid (الماجد)

The Glorious(একমাত্র সন্মানীত ও গৌরবান্বিত)

67 Al-Wahid (الواحد)

The One, the All Inclusive, The Indivisible(তিনি এক অদ্বিতীয়)

68 As-Samad (الصمد)

The Satisfier of All Needs(তিনি কারো ধার ধারেন না)

69 Al-Qadir (القادر)

The All Powerful(শক্তিমান)

70 Al-Muqtadir (المقتدر)

The Creator of All Power(সর্ব শক্তির উদ্ভাবক)

71 Al-Muqaddim (المقدم)

The Expediter(তিনি অগ্রগামী করেন)

72 Al-Mu'akhkhir (المؤخر)

The Delayer(তিনি পেছনে ফেলে দেন)

73 Al-Awwal (الأول)

The First(তিনিই আদি)

74 Al-Akhir (الآخر)

The Last(তিনিই অন্ত)

75 Az-Zahir (الظاهر)

The Manifest One(তিনি প্রকাশ্য)

76 Al-Batin (الباطن)

The Hidden One(তিনিই গোপন)

77 Al-Wali (الوالي)

The first governor (তিনিই প্রথম অধিকার বিস্তারকারী বাদশাহ)

78 Al-Muta'ali (المتعالي)

The Supreme One(সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান)

79 Al-Barr (البر)

The Doer of Good(পরম বন্ধু)

80 At-Tawwab (التواب)

The Guide to Repentance(তিনি তওবা কবুল কারী)

81 Al-Muntaqim (المنتقم)

The Avenger(শাস্তিদাতা)

82 Al-'Afuww (العفو)

The Forgiver(ক্ষমাশীল)

83 Ar-Ra'uf (الرؤوف)

The Clement(অতিশয় সদয়)

84 Malik-al-Mulk (مالك الملك) The Owner of All(বিশ্বজাহানের মালিক)

85 Dhu-al-Jalal wa-al-Ikram (ذو الجلال

و

الإكرام) The Lord of Majesty and Bounty(সব প্রভাব প্রতিপত্তির

মালিক)

86 Al-Muqsit (المقسط)

The Equitable One(ন্যায় বিচারক)

87 Al-Jami' (الجامع)

The Gatherer(সমবেত কারী)

88 Al-Ghani (الغنى)

The Rich One(প্রকৃত ধনী)

89 Al-Mughni (المغنى)

The Enricher(ধনীর শ্রষ্টা)

90 Al-Mani'(المانع)

The Preventer of Harm(ধনী ও নির্ধন সৃষ্টি কারী)

91 Ad-Darr (الضار)

The Creator of The Harmful(অনিষ্টের মালিক)

92 An-Nafi' (النافع)

The Creator of Good(লাভ দান কারী)

93 An-Nur (النور)

The Light(তিনি আলো)

94 Al-Hadi (الهادي)

The Guide(তিনি পথ দেখান বা হিদায়াত দানকারী)

95 Al-Badi (البديع)

The Originator(প্রথম অস্তিত্ব দানকারী)

96 Al-Baqi (الباقي)

The Everlasting One(তিনিই অবশিষ্ট থাকবেন)

97 Al-Warith (الوارث)

The Inheritor of All(সকল সম্পদের একমাত্র উত্তরাধিকারি)

98 Ar-Rashid (الرشيد)

The Righteous Teacher(তিনি সত্য)

99 As-Sabur (الصبور)
The Patient One(তিনি ধৈর্যশীল)

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে অর্থাৎ আমরা আল্লাহর রং (দ্বীন ইসলাম) গ্রহণ করেছি- (তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হওয়ার জন্য)। আল্লাহর রং-এর চাইতে (তাঁর গুণাবলীর চাইতে) উত্তম রং (গুণাবলী) আর কার হতে পারে? আমরা (মুসলমানরা) তাঁরই ইবাদত করি (এবং তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হতে চাই)।
আল-বাকারা [২:১৩৮]

আল্লাহ্‌- আমাদের সবাইকে তার গুণে গুণাণ্বিত হওয়ার তফিওক দান করুক।
আমীন।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার ৯৯টি নাম
99 Names of ALLAH(S.W.T)
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার ৯৯টি নাম
99 Names of ALLAH(S.W.T)

কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :

"আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে
বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল
শীঘ্রই পাবে।-আল-আরাফ [৭:১৮০]
"The most beautiful names belong to Allah: so call on him by them; but shun such men as use profanity in his names: for what they do, they will soon be requited. Al-Araaf [7:180]"

"আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই"। - সূরা
ত্বাহাঃ[২০:০৮]
Allah! there is no god but He! To Him belong the most Beautiful Names. Taa-Haa [20:8]

হাদিসে এসেছে আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে যারা এ নাম গুলোকে পরিপূর্ণ

বিশ্বাসের সাথে গ্রহন ও সংরক্ষণ করে তারা বেহেস্তে প্রবেশ করবে:

Narrated By Abu Huraira: Allah's Apostle said, "Allah has *NINETY-NINE* Names,
one-hundred less one; and he who memorized them all by heart will enter
Paradise." To count something means to know it by heart.

-Shahi Bukhari, Vol 9, Book 93. Oneness, Uniqueness Of Allah Hadith 489.


আসুন , অন্তত একবার নামগুলো পড়ি এবং আল্লাহপাকের মহত্ব জানি।

1 Allah (الله)

The Greatest Name( এটাকে আল্লাহর জাতি নাম বলা হয়।অনেকেই এ

নামের কোন অর্থ করেননি।কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন যুক্ত অক্ষর-ال+الإله বলে
সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী)

2 Ar-Rahman (الرحمن)

The All-Compassionate (পরম দাতা ও দয়ালু)

3 Ar-Rahim (الرحيم)

The All-Merciful(পরম দাতা ও দয়ালু)

4 Al-Malik (الملك)

The Absolute Ruler(রাজাধিরাজ)

5 Al-Quddus (القدوس)

The Pure One(সব ত্রুটি থেকে পবিত্র)

6 As-Salam (السلام)

The Source of Peace(একমাত্র শান্তি দান কারী)

7 Al-Mu'min (المؤمن)

The Inspirer of Faith(একমাত্র নিরাপত্তা দান কারী)

8 Al-Muhaymin (المهيمن)

The Guardian(একমাত্র রক্ষণাবেক্ষণকারী)

9 Al-Aziz (العزيز)

The Victorious(মহা সন্মানিত)

10 Al-Jabbar (الجبار)

The Compeller(এমন বাদশাহ যিনি যা খুশি তাই করতে পারেন)

11 Al-Mutakabbir (المتكبر)

The Greatest(অহংকার এবং গৌরবের একমাত্র মালিক)

12 Al-Khaliq (الخالق)

The Creator(দৃশ্যমান যাবতীয় জিনিষের সৃষ্টিকর্তা)

13 Al-Bari' (البارئ)

The Maker of Order(রুহ এবং অদৃশ্য যাবতীয় জিনিষের সৃষ্টিকর্তা)

14 Al-Musawwir (المصور)

The Shaper of Beauty(আকার আকৃতি দান কারী)

15 Al-Ghaffar (الغفار)

The Forgiving(অনেক বড় ক্ষমাশীল)

16 Al-Qahhar (القهار)

The Subduer(প্রভাব বিস্তারকারী মহাশক্তিধর)

17 Al-Wahhab (الوهاب)

The Giver of All(অনেক বড় দাতা)

18 Ar-Razzaq (الرزاق)

The Sustainer(রিজিক বা রুজি দানকারী)

19 Al-Fattah (الفتاح)

The Opener(যিনি বন্ধ দরোজা খুলেদেন।বিদ্যা,বুদ্ধি,রুজি ইত্যাদীর)

20 Al-`Alim (العليم)

The Knower of All(সর্বজ্ঞ,যিনি সবকিছু

জানেন)

21 Al-Qabid (القابض)

The Constrictor(যিনি সংকীর্ণ বা ছোট করেন)

22 Al-Basit (الباسط)

The Reliever(যিনি প্রশস্ত বা বড় করেন)

23 Al-Khafid (الخافض)

The Abaser(তিনি অবস্থার অবনতি করেন)

24 Ar-Rafi (الرافع)

The Exalter(তিনিই উন্নতি দান করেন)

25 Al-Mu'izz (المعز)

The Bestower of Honors(তিনি সন্মান দানকারী)

26 Al-Mudhill (المذل)

The Humiliator(তিনি অপদস্থ কারী)

27 As-Sami (السميع)

The Hearer of All(যিনি সবকিছু শুনেন)

28 Al-Basir (البصير)

The Seer of All(সব কিছু যিনি দেখেন)

29 Al-Hakam (الحكم)

The Judge One(একমাত্র আদেশ দানকারী ও আইন প্রণেতা)

30 Al-`Adl (العدل)

The Just(ন্যায়পরায়ণ ও ন্যয়বিচারক)

31 Al-Latif (اللطيف)

The Subtle One(একমাত্র সূক্ষ্মদর্শী)

32 Al-Khabir (الخبير)

The All-Aware(যিনি গোপন খবর জানেন)

33 Al-Halim (الحليم)

The Forbearing(অতিশয় ধৈর্যশীল)

34 Al-Azim (العظيم)

The Magnificent(অতি মহান)

35 Al-Ghafur (الغفور)

The Forgiver and Hider of Faults(অতিশয় ক্ষমাশীল)

36 Ash-Shakur (الشكور)

The Rewarder of Thankfulness(সঠিক কর্ম সম্পাদনকারী,কৃতজ্ঞতার প্রতিদানকারি)

37 Al-Ali (العلى)

The Highest(অতি বড় মহান)

38 Al-Kabir (الكبير)

The Greatest(সবচেয়ে বড়)

39 Al-Hafiz (الحفيظ)

The Preserver(সবকিছু সংরক্ষণকারী)

40 Al-Muqit (المقيت)

The Nourisher(সবার রুজি উপার্যন দানকারী)

41 Al-Hasib (الحسيب)

The Accounter(সবার হিসাব গ্রহনকারী)

42 Al-Jalil (الجليل)

The Mighty(অতি বড় মর্যাদাশালী)

43 Al-Karim (الكريم)

The Generous(বড় দাতা)

44 Ar-Raqib (الرقيب)

The Watchful One(গোপন ও প্রকাশ্য সবজান্তা)

45 Al-Mujib (المجيب)

The Responder to Prayer(করূণ প্রার্থনা শ্রবণকারী)

46 Al-Wasi (الواسع)

The All-Comprehending(যিনি বিশাল,অফুরন্ত)

47 Al-Hakim (الحكيم)

The Perfectly Wise(সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী)

48 Al-Wadud (الودود)

The Loving One(প্রেমময়)

49 Al-Majid (المجيد)

The Majestic One(সবচেয়ে সন্মানিত)

50 Al-Ba'ith (الباعث)

The Resurrector(কিয়মত দিবসে পুনরুত্থানকারী)

51 Ash-Shahid (الشهيد)

The Witness(প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্যদাতা)

52 Al-Haqq (الحق)

The Truth(তিনি মহা সত্য)

53 Al-Wakil (الوكيل)

The Trustee(একমাত্র কার্যনির্বাহক)

54 Al-Qawiyy (القوى)

The Possessor of All Strength(প্রবল পরাক্রমশালী)

55 Al-Matin (المتين)

The Forceful One(মহা শক্তিধর)

56 Al-Waliyy (الولى)

The Protecting Friend(বিপদে একমাত্র বন্দু)

57 Al-Hamid (الحميد)

The Praised One(একমাত্র প্রশংসার যোগ্য)

58 Al-Muhsi (المحصى)

The Appraiser(হিসাব সংরক্ষণকারী)

59 Al-Mubdi' (المبدئ)

The Originator (সব বস্তুর প্রথম শ্রষ্টা)

60 Al-Mu'id (المعيد)

The Restorer(পুনরুত্থানকারী শ্রষ্টা)

61 Al-Muhyi (المحيى)

The Giver of Life(জীবনের শ্রষ্টা)

62 Al-Mumit (المميت)

The Taker of Life(মৃত্যু দাতা)

63 Al-Hayy (الحي)

The Ever Living One(চিরঞ্জীব)

64 Al-Qayyum (القيوم)

The Self-Existing One(চিরস্থায়ী)

65 Al-Wajid (الواجد)

The Finder(প্রকৃত ধনী,উদ্ভাবনকারী)

66 Al-Majid (الماجد)

The Glorious(একমাত্র সন্মানীত ও গৌরবান্বিত)

67 Al-Wahid (الواحد)

The One, the All Inclusive, The Indivisible(তিনি এক অদ্বিতীয়)

68 As-Samad (الصمد)

The Satisfier of All Needs(তিনি কারো ধার ধারেন না)

69 Al-Qadir (القادر)

The All Powerful(শক্তিমান)

70 Al-Muqtadir (المقتدر)

The Creator of All Power(সর্ব শক্তির উদ্ভাবক)

71 Al-Muqaddim (المقدم)

The Expediter(তিনি অগ্রগামী করেন)

72 Al-Mu'akhkhir (المؤخر)

The Delayer(তিনি পেছনে ফেলে দেন)

73 Al-Awwal (الأول)

The First(তিনিই আদি)

74 Al-Akhir (الآخر)

The Last(তিনিই অন্ত)

75 Az-Zahir (الظاهر)

The Manifest One(তিনি প্রকাশ্য)

76 Al-Batin (الباطن)

The Hidden One(তিনিই গোপন)

77 Al-Wali (الوالي)

The first governor (তিনিই প্রথম অধিকার বিস্তারকারী বাদশাহ)

78 Al-Muta'ali (المتعالي)

The Supreme One(সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান)

79 Al-Barr (البر)

The Doer of Good(পরম বন্ধু)

80 At-Tawwab (التواب)

The Guide to Repentance(তিনি তওবা কবুল কারী)

81 Al-Muntaqim (المنتقم)

The Avenger(শাস্তিদাতা)

82 Al-'Afuww (العفو)

The Forgiver(ক্ষমাশীল)

83 Ar-Ra'uf (الرؤوف)

The Clement(অতিশয় সদয়)

84 Malik-al-Mulk (مالك الملك) The Owner of All(বিশ্বজাহানের মালিক)

85 Dhu-al-Jalal wa-al-Ikram (ذو الجلال

و

الإكرام) The Lord of Majesty and Bounty(সব প্রভাব প্রতিপত্তির

মালিক)

86 Al-Muqsit (المقسط)

The Equitable One(ন্যায় বিচারক)

87 Al-Jami' (الجامع)

The Gatherer(সমবেত কারী)

88 Al-Ghani (الغنى)

The Rich One(প্রকৃত ধনী)

89 Al-Mughni (المغنى)

The Enricher(ধনীর শ্রষ্টা)

90 Al-Mani'(المانع)

The Preventer of Harm(ধনী ও নির্ধন সৃষ্টি কারী)

91 Ad-Darr (الضار)

The Creator of The Harmful(অনিষ্টের মালিক)

92 An-Nafi' (النافع)

The Creator of Good(লাভ দান কারী)

93 An-Nur (النور)

The Light(তিনি আলো)

94 Al-Hadi (الهادي)

The Guide(তিনি পথ দেখান বা হিদায়াত দানকারী)

95 Al-Badi (البديع)

The Originator(প্রথম অস্তিত্ব দানকারী)

96 Al-Baqi (الباقي)

The Everlasting One(তিনিই অবশিষ্ট থাকবেন)

97 Al-Warith (الوارث)

The Inheritor of All(সকল সম্পদের একমাত্র উত্তরাধিকারি)

98 Ar-Rashid (الرشيد)

The Righteous Teacher(তিনি সত্য)

99 As-Sabur (الصبور)
The Patient One(তিনি ধৈর্যশীল)

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে অর্থাৎ আমরা আল্লাহর রং (দ্বীন ইসলাম) গ্রহণ করেছি- (তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হওয়ার জন্য)। আল্লাহর রং-এর চাইতে (তাঁর গুণাবলীর চাইতে) উত্তম রং (গুণাবলী) আর কার হতে পারে? আমরা (মুসলমানরা) তাঁরই ইবাদত করি (এবং তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হতে চাই)।
আল-বাকারা [২:১৩৮]

আল্লাহ্‌- আমাদের সবাইকে তার গুণে গুণাণ্বিত হওয়ার তফিওক দান করুক।
আমীন।

Thursday, May 17, 2012

ধর্মে ধর্মে সেই মহামানবঃ


ধর্মে ধর্মে সেই মহামানবঃ

[Hinduism ভগবত ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Judaism ইহুদী ধর্মে সেই মহামানব ]  
[Christianity খ্রীষ্ট ধর্মে সেই মহামানব 
[Zorastranism জোরাস্টাইন ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Budhism বৌদ্ধ ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Shikism শিখ ধর্মে সেই মহামানব ]

ভগবত ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-


'কল্ক' শব্দের অর্থ পাপ আর 'কল্কি' শব্দের অর্থ হল পাপের বিনাশকারী। ভগবত ধর্মের কল্কিপুরাণে বর্ণিত কল্কি অবতার যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-সেই তথ্য আজ আর অজানা নয়। সংস্কৃত শব্দের আড়াঁলে চাপা পড়া সেই মহান সত্যের উদ্ঘাটন করেছেন ধর্ম পন্ডিতগণ। ধর্মগ্রন্থগুলো কল্কি অবতারের যে সব গুণাবলী বর্ণনা করেছে সে সব নিরপেক্ষভাবে, বিশ্লেষণী মনে অধ্যয়ন করে যে কেউ নির্দিদ্ধায় বলে উঠবেন ইনি হযরত মুহাম্মদ (স) ভিন্ন অন্য কেউ নন। কেননা কল্কি অবতারের যে সব গুণ বর্ণনা করা হয়েছে সে সব কেবলমাত্র মরুনিবাসী লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীন শ্মশ্রুধারী মুহাম্মদ (স) এরই ছিল। বলা হয়েছে পৃথিবী যখন পাপে পাপে দূষিত হবে, মানুষ ধর্ম ভুলে যাবে - সেই সময় জগতের পাপ নাশ করেতে কল্কি অবতার আসবেন। ইসলামপূর্ব আরব সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়, ধর্ম বিবর্জিত মানুষ নিজ নিজ গোঁড়ামীর কারণ হেতু অজ্ঞতা ও বর্বরতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। সেই যুগকে বলা হত আইয়ামে জাহেলীয়াতের যুগ অর্থাত্‍ অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। তখন তারা তাদের সত্‍ মাকে বিবাহ করতে শুরু করেছিল, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত করব, মদ পান, ব্যভিচার, মূর্তিপূজা, জুয়া খেলায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময়ে হযরত মুহাম্মদ (স) এসেছিলেন। তিনি অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আরব সমাজকে মুক্ত করলেন। মরুনিবাসীদের পাপ নাশ করে তিনি জগতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। জগতের পাপ নাশ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এমন দৃষ্টান্ত মুহাম্মদ (স) ব্যতিত আর কেউ স্থাপন করতে সফল হননি। আসুন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাক, বেদ-পুরাণ সেই কল্কি অবতার সম্পর্কে কি বলছেঃ

কল্কি পুরাণে মুহাম্মদ (দঃ)-


"শম্ভুলে বিষুত্‍ যশাসো গৃহে প্রাদূর্ভবাসত্বম।
সমুত্যাং মাতরি বিভো কন্যায়াং ত্বনি্নদেশতঃ \\"
সূত্রঃ (কল্কি পুরাণে-২, শ্লোক-৪])

অর্থঃ  "আমি শম্ভুল (আরব) নগরে বিষ্ণুযশা (আব্দুল্লাহ) নামক গৃহে সুমতি (আমিনা) নাম্মী ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হইব।"

শম্ভুলঃ  এখানে সংস্কৃত 'শম্ভুল' শব্দ দ্বারা আরব নগরীকে বোঝানো হয়েছে? ভারতের বৈদিক যুগের পন্ডিতরা পৃথিবীর স্থলভাগকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।

১.জম্বুঃ ভারত, তিব্বত ও চীন অঞ্চল
২.শাকঃ পারস্য ও ইরাক অঞ্চল
৩.কুশঃ আফ্রিকা অঞ্চল
৪.ক্রৌঞ্চঃ ইউনান বা গ্রীস
৫.প্লক্ষ
৬.পুষ্করঃ স্পেন ও ইতালী অঞ্চল
৭.শম্ভুলঃ আরব অঞ্চল।

বিষ্ণুযশাঃ  বিষ্ণুযশা সংস্কৃত শব্দ। মুলতঃ সংস্কৃত শব্দের আড়াঁলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে প্রকৃত সত্য তথ্য। শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- বিষ্ণু = ভগবান (আরবীতে আল্লাহ), যশা = সেবক বা দাস; অর্থাত্‍, আল্লাহর সেবক বা দাস। অপরদিকে, আরবী 'আব্দুল্লাহ' শব্দের অর্থও আল্লাহর সেবক বা দাস।

সুমতিঃ  সুমতি সংস্কৃত শব্দ। সুমতি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় শান্ত, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ততকালীন সময়ে সমগ্র আরবের মধ্যে মা আমিনা ছিলেন সবচাইতে শান্ত প্রকৃতির, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি।

[-] ব্রাহ্মাণ হল হিন্দু ধর্মের সর্ব্বোচ্চ বংস, গোত্র, জাত বা শ্রেণীর নাম। অন্যান্য জাত বা গোত্রের চেয়ে ব্রাহ্মণরা সম্মানে, অধিকারে, শাস্ত্রে সবদিক থেকে অগ্রগণ্য। পীয়ারে হাবীব যে বংসে (কুরাইশ) এসেছিলেন সেটিও ছিল ততকালীন আরবের মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত, অধিকারে, ক্ষমতায়, ধর্মে-কর্মে। প্রকৃত অর্থে এখানে ব্রাহ্মাণ বলতে কুরাইশ বংসকে বোঝানো হয়েছে।

< পূর্বের পাতা       পরের পাতা>

[Hinduism ভগবত ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Judaism ইহুদী ধর্মে সেই মহামানব ]  
[Christianity খ্রীষ্ট ধর্মে সেই মহামানব 
[Zorastranism জোরাস্টাইন ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Budhism বৌদ্ধ ধর্মে সেই মহামানব ] 
[Shikism শিখ ধর্মে সেই মহামানব ]

Thursday, March 15, 2012


Shahadath Mirza


Basic info

Birthday : 17 February
Relationship Status : Single
Work and education
Employer
C.E.O. · Sylhet
Executive Office
University
CSE

About you

I like public communication…Good Relationship & everything, leading social Relationship service that provides that’s r good