Tuesday, July 9, 2013

মাহে রমজান এর তাৎপর্য:

মাহে রমজান এর তাৎপর্য:
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। রমজানের কল্যাণ লাভের প্রত্যাশায় মুমিনরা ১১টি মাস অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। রমজানের আগমনে মুসলিম উম্মাহ আনন্দিত হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়া। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম।’ (সূরা ইউনুস : ৫৮)।

Thursday, June 6, 2013

আজ পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের অন্যতম অলৌকিক ও তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা এ মিরাজ।

আজ পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ। সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের অন্যতম অলৌকিক তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা মিরাজ। মদিনায় হিজরতের আগে মক্কায় অবস্থানকালে ২৬ রজব দিবাগত রাতে তিনি আল্লাহপ্রদত্ত বাহনে চড়ে মিরাজ গমনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের .

মদিনায় হিজরতের আগে মক্কায় অবস্থানকালে ২৬ রজব দিবাগত রাতে তিনি আল্লাহপ্রদত্ত বাহনে চড়ে মিরাজ গমনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন। মিরাজ গমন করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামী সমাজ পরিচালনার বিধিবিধান নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআনে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই মিরাজের রজনী বিশেষ গুরুত্বের। বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ রাতে যথাযোগ্য মর্যাদা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করবে শবে মিরাজ।

উপলক্ষে মসজিদগুলোতে বিশেষ আলোচনা, দোয়া ইবাদত-বন্দেগির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র রজনী পালিত হবে।

রাসুল (সা.) এর সব মোজেজার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা হলো পবিত্র মিরাজ। রাতে তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে সব নবীর ইমাম হয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালিনের আসনে স্থায়ীভাবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাসুল (সা.) পথহারা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে একটানা ১২ বছর দাওয়াত দেন মক্কায়। কিন্তু তার দাওয়াতে কিছু মানুষ ইসলাম কবুল করলেও অধিকাংশই লেগে যায় বিরোধিতায়। ধীরে ধীরে বিরোধিতা তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। নানা রকম অমানবিক নির্যাতন শুরু হয় রাসুলের ওপর। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সময়ই রাসুলকে (সা.) তার সান্নিধ্যে নিয়ে যান। নিজের প্রিয় হাবিবকে তার সান্নিধ্যে নিয়ে যেতে আল্লাহ নিজ কুদরতে মিরাজের আনজাম দেন।

বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে তারই প্রমাণ ঘটে। এক মুহূর্তে ঘটে যায় মিরাজের ঘটনা। তফসিরকারীরা বলেন, চোখের পলক সময় ব্যয়িত হয়। বর্ণিত আছে, মিরাজ থেকে ফেরার পর দরজার কড়া নড়তে এবং অজুর পানি গড়াতে দেখেছেন রাসুল (সা.)

পবিত্র কোরআনের সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে রাসুল (সা.)-এর মিরাজ গমনের বর্ণনা এসেছে এভাবে, ‘তিনি সেই পরম পবিত্র মহিমাময় সত্তাযিনি তার স্বীয় বান্দাকে (সা.) এক রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশকে করেছেন তিনি বরকতময়। যাতে তাকে নিজের কিছু কুদরত দেখান। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছুরই শ্রোতা দ্রষ্টা।

২৬ রজব রাসুল (সা.) উম্মে হানি বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ জিবরাইল (.) এসে রাসুলকে (সা.) মসজিদুল হারামে নিয়ে যান। সেখানে তার বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সিনা মোবারক ধৌত করে শক্তিশালী করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি বোরাক নামের এক বাহনে চড়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে সব নবীর ইমামতি করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বে গমন করতে থাকেন। একের পর এক আসমান অতিক্রম করতে থাকেন। পথে মুসাসহ (.) অনেক নবী-রাসুলের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়। সপ্তম আসমানের পর বায়তুল মামুরে গিয়ে জিবরাইলকে (.) রেখে তিনি রফরফ নামের আরেকটি ঐশী বাহনে চড়ে বিশ্বের স্রষ্টা মহান আল্লাহর দরবারে হাজির হন।

বর্ণনায় আছে, রাসুল (সা.) আল্লাহর এতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন যে, দুজনের মধ্যে ধনুক পরিমাণ ব্যবধান ছিল। সেখানে আল্লাহর সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর কথোপকথন হয়। এক বর্ণনার মাধ্যমে জানা যায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চান, তিনি আল্লাহর জন্য কী উপহার এনেছেন। তখন রাসুল (সা.) তাশাহুদ পাঠ করেন এবং বলেন, এটি আপনার জন্য উপহার হিসেবে এনেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ জীবন রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন বিধিবিধান রাসুল (সা.)-কে উপহার দেন। মিরাজ থেকে আসার পর ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হলে বিনা প্রশ্নে তা বিশ্বাস করেন হজরত আবু বকর (রা.)


শবে মিরাজ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছে। এতে খতিব মাওলানা মুহাম্মদ সালাহউদ্দীনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামরা ওয়াজ করবেন।

Wednesday, March 27, 2013


বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পবিত্র জন্মের আনন্দঘন মাস রবিউল আউয়াল৷ অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে মহান এই রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে তিনি বেহেশতী সুষমা নিয়ে প্রথিবীতে এলেন ৷ অবশ্য এমতের ব্যতিক্রমও আছে ৷ কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে ১৭ই রবিউল আউয়ালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ যাই হোক তিনি এলেন পথ ভ্রষ্ট্র মানুষকে পথ দেখিয়ে দিতে ৷ মিথ্যা পথের অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করতে ৷ তাঁর আগমণ প্রথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ৷ তাঁর আবির্ভাব সত্য ও সুন্দরের নির্ভীক বিজয়ের স্মারক ৷ তাঁর আগমনে আমরা পেয়েছি ইহকালীন শান্তি আর পরকালীন মুক্তির দিক-নির্দেশনা ৷ বিনয় অবনত শ্রদ্ধার সাথে তাই কৃতজ্ঞতা জানাই বিশ্বের সেই শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি ৷ যাঁর আগমন না ঘটলে সুন্দর পেতনা তার পূর্ণরূপ ৷ পৃথিবী সৃষ্টি খুঁজে পেতো না স্বার্থকতা ৷ কবির ভাষায়,
তুমি না আসিলে মধু ভান্ডার ধরায় কখনো হতনা লুট
তুমি না আসিলে নারগিস কভু খুলতনা তার পর্ণপুট
বিচিত্র আশা মুখর মাসুক খুলত না তার রুদ্ধ দিল
দিনের প্রহরী দিত না সরায়ে আবছা আঁধার কালো নিখিল ৷
আমরা আজ তাঁর আগমনের বার্ষিকীতে তাঁরি পূণ্যময় জীবন ও কর্মের খানিকটা তুলে ধরে মূলত : নিজেদের জীবনই ধন্য করবো ৷
ত্রিভূনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়
আয়রে সাগর আকাশ-বাতাস দেখবি যদি আয়
... ... ... .... ... ... ... ... ....
হ্যাঁ , ত্রিভূবনের যিনি প্রিয়, তিনি পৃথিবীতে এসেছেন ৷ সেজন্যে আকাশ-বাতাস, সমুদ্র পর্বত তথা নিসর্গের সবকিছুতেই আনন্দের ধারা বয়ে যাচ্ছে ৷ মা আমেনার কোল জুড়ে এলো যেন এক পূর্ণিমার চাঁদ ৷ সে চাঁদের আলোয় আমেনার পাতার ঘর ঝলমল করছে ৷ কবি ফররুখ আহমদ তাঁর " সিরাজাম মুনীরা মুহাম্মদ মোস্তফা " কবিতায় যেমনটি লিখেছেন,
পূর্বাচলের দিগন্ত নীলে সে জাগে শাহানশাহের মত
তার স্বাক্ষর বাতাসের আগে ওড়ে নীলাভ্রে অনবরত ৷
ঘুম ভাঙলো কি হে আলোর পাখী ? মহানীলিমায় ভ্রাম্যমান
রাত্রি-রুদ্ধ কন্ঠ হতে কি ঝ'রবে এবার দিনের গান ?
এবার কি সুর ঘন অশ্রুর কারা তট থেকে প্রশান্তির ?
এবার সে কোন আলোর স্বপ্নে তাকাবে ক্ষুব্ধ প্রলয় নীর ?
এ বোবা বধির আকাশ এবার ভুলবে কি তার নীরবতাকে
সেই মুসাফির সুদুরচারীর সুগভীর সুরে দরদী ডাকে ৷
আর কবি নজরুল লিখেছেন , যেন উষারকোলে রাঙ্গা রবি দোলে,
তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে .... ৷
সত্যি এই রাঙ্গা রবিই একদিন সমাজের সকল অন্ধকার দূর করে দিয়েছিলো ৷ হ্যাঁ অন্ধকারই বটে ৷ আরব, পারস্য, মিসর, রোম , ভারতবর্ষ প্রভৃতি তত্কালীন সভ্য জগতের সবখানেই সত্যের আলো নিভে গিয়েছিলো ৷ জবুর , তওরাত্‍, বাইবেল প্রভৃতি বিকৃত ও রূপান্তরিত হয়ে পড়েছিলো ৷ ফলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে গিয়ে প্রতিমাপূজা, প্রকৃতি পূজা, অগ্নিপূজা শুরু করে দিয়েছিলো ৷ অনাচার, অবিচার আর ব্যভিচারে পৃথিবীটা জর্জরিত হয়ে পড়েছিলো ৷ আরবের অবস্থা ছিলো তখন সবচেয়ে শোচনীয় ৷ এমন কোন পাপ নেই, যা আরব সমাজে ছিলো না ৷ মদ-জুয়া-ব্যভিচার থেকে শুরু করে চুরি-ডাকাতি আর মারামারির ঘটনা ছিলো আরব সমাজের নিত্যদিনের ব্যাপার ৷ নারীজাতির অবস্থা ছিলো তখন অবর্ণনীয় ৷ নারীর সাথে তখন গৃহপালিত পশুর মতো আচরণ করা হতো ৷ কণ্যা সন্তান জন্ম নিলেই তাকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো ৷ এমনি বিচিত্র ধরনের অরাজকতায় ভরে গিয়েছিল আরব সমাজ ৷ চারদিকে নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণ তখন আর্তনাদ করছিল, একজন ত্রানকর্তার আবির্ভাব প্রত্যাশা করছিল ৷ আল্লাহ তখন মজলুমের ডাকে সাড়া দিয়ে ত্রাণকর্তার হিসেবে যাঁকে পাঠালেন, তিনি আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৷ তিনি এলেন, যেন আধার বিদীর্ণ করে জেগে উঠলো আলো ৷ তিনি এলেন, ইসলামের নবীন সওদা নিয়ে ৷

হ্যাঁ, ইসলামের সওদা নিয়ে এসে রাসূল (সাঃ) নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ঘুচালেন ৷ পৌত্তলিকতার নিরর্থকতা প্রমাণ করে আল্লাহর একত্ববাদ কায়েম করলেন ৷ মানুষকে দিলেন ইহকালীন শান্তি এবং পরকালীন মুক্তির দিশা ৷ কিন্তু এ কাজ এতোই সহজ ? না, মোটেই না ৷ বরং যখনি রাসূল (সাঃ) একত্ববাদের ডাক দিলেন, তখনি কায়েমী স্বার্থবাদী দল তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগলো ৷ যাঁর-চারিত্রিক মাধুর্য এবং আমানতদারীর বিশ্বস্ততার মানুষ তাঁকে উপাধি দিয়েছিলো " আল আমীন " সেই আল আমীন যখন তৌহিদের আহবান জানালেন, তখন তাঁর আশপাশের লোকজনই বিরোধীতা করলেন ৷ শুধুই কি বিরোধীতা , সাধারণ মানুষ যখন তাঁর আনুগত্য করতে শুরু করে দিলো, তখন কায়েমী সমাজপতিরা তাঁকে হত্যার চেষ্টা চালালো৷ অবশেষে তিনি আল্লাহর ইচ্ছায় জন্মভূমি পর্যন্ত ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ৷ তার উপর সামাজিক অবরোধ আরোপ করা হলো ৷ নির্বাসন দেয়া হলো তাঁকে ৷ তবু তিনি বৃহত্তর কল্যাণের জন্যে সকল দুঃখ কষ্টই ধৈর্যের সাথে সহ্য করলেন ৷ মানুষকে আল্লার পথে ডাকলেন ৷ সংঘদ্ধ করলেন ৷ সবশেষে একের পর এক জেহাদ করে সত্যের বিজয় পতাকা উড়ালেন ৷ রক্ত ঝরিয়েছেন নিজের শরীর মোবারক থেকে ৷ দাঁত ভেঙ্গেছেন, তবু এতোটুকু পিছপা হননি ৷ আল্লাহর উপর ভরসা করে মানব মুক্তির শেষ্ঠ সনদ আল ইসলামকে কায়েম করে গেলেন ৷ তৈরী করে গেলেন তাঁরি অবিকল চারিত্রিক মাধুর্যপূর্ণ কিছু ব্যাক্তিত্বকে ৷ ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর জমীনে প্রতিষ্ঠিত করার পর তিনি পুনরায় আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে বিদায় নিলেন ক্ষণস্থায়ী এ পৃথিবী থেকে ৷ রেখে গেলেন আল্লাহর কিতাব আল কোরআন আর তাঁর পূর্ণাঙ্গ জীবনের অবিকৃত শব্দরূপ আল-হাদিস এবং চারিত্রিক মাধুর্যপূর্ণ আহলে বাইত ও একদল সাহাবী ৷ আজ সেই মানবতার মুক্তিদূত রাসূলে করীম (সাঃ)এর পবিত্র জন্ম বার্ষিকী ; মীলাদু্ন্নবী ৷ এ উপলক্ষ্যে আমরা রাসূল (সাঃ) এর জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের জীবন গড়বো এই হোক মীলাদুন্নবী (সাঃ) এর অঙ্গীকার ৷ #